পাকিস্তানে সরকার গঠন নিয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়েছে। আজ সোমবার অমীমাংসিত আরো কয়েকটি বিষয়ে ফয়সালা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার গঠন
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনীতির ইতিহাসে ডামি প্রার্থী, ডামি ভোটার, ডামি এজেন্ট, ডামি পর্যবেক্ষক, ডামি ফলাফল, ডামি এমপি, ডামি শপথের মধ্যদিয়ে একদলীয় ফ্যাসিবাদের হুংকারে আরেকটি কৃষ্ণতম মেকি সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার বলেছেন, সংসদীয় দলগুলোকে নিয়ে আগামী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যেতে পারে, যদিও ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিনস্টারের গণতন্ত্র অনুসরণ করে দেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খান সোমবার সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার অবসরগ্রহণ নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তার মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের দাবি, স্বৈরাচারী-অমানবিক সরকারের পতন ঘটিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করা।’
তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা গনি বারাদার আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন সরকারের ঘোষণা দেয়া হবে।
আফগানিস্তানের সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও দলটির রাজনৈতিক দফতরের প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন। দেশটিতে নতুন সরকার গঠনে আলোচনার জন্য শনিবার কাবুলে তিনি হাজির হন বলে তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানিয়েছেন।
আফগানিস্তানে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠায় কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণায় ৩১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রত্যাহারের ডেডলাইন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তালেবান।
আফগানিস্তানে আলোচনার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ। বিশ্বসংস্থাটি এমন সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে যা হবে ঐক্যবদ্ধ, অন্তর্ভূক্তিমূলক, প্রতিনিধিত্বমূলক এবং যেখানে নারীদের পূর্ণ, সমান ও অর্থবহ অংশগ্রহণ থাকবে।
তালেবান ঘোষণা করেছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে এবং শিগগিরই সরকার গঠন করা হবে। গতকাল রোববার তালেবান বাহিনী কাবুলে প্রবেশ করে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। আজ সোমবার ভোরে কাবুলে কিছু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও সেগুলোর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া শত শত আফগান দেশ ছাড়তে মরিয়া চেষ্টায় কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করছে।